কাফন-দাফন ও সৎকার

মানুষ মারা গেলে তাকে কাফন-দাফন করানো অপর মুসলিমের উপর আবশ্যক হয়ে পড়ে। হাদিসের বর্ণনা অনুসারে কাফন-দাফন করানো অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি কাজ। আমাদের দেশে কিছু লোক ঐতিহ্যগতভাবে এ কাজগুলো আনজাম দিয়ে আসছেন। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি একটি সংকট তৈরি করে দেয়। যেমন করোনাকালীন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা লোকদের কাফন-দাফন থেকে দূরে সরে গেছে তার সন্তানসন্ততি পরিবার পরিজন পর্যন্ত। তখন আল মানাহিল একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে সম্পূর্ণ লাশ কাফন দাফন সম্পন্ন করে।
উক্ত কার্যক্রমে করোনায় আক্রান্ত ১৪২৭ টি লাশ আল মানাহিল কাফন দাফন করে। যার মধ্যে ৮০ টি লাশ ছিল ভিন্ন ধর্মের এবং এ পর্যন্ত আল মানাহিল ৪,০০০ অধিক লাশের কাফন দাফন সম্পন্ন করেছে। আমাদের এ কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। করোনার কঠিন সময়ে সম্পূর্ণ বিনা খরচে আল মানাহিল করোনা আক্রান্ত লাশের কাফন-দাফন করেছে। লাশ কাফন দাফনের অত্যাধিক ফজিলতের কথা অসংখ্যা হাদিসে পাওয়া যায়।
রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি একজন মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরাবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সুন্দর ও রেশমী (ইরাকী) পোশাক পরিয়ে দেবেন। (মুস্তাদরাক আল-হাকেম, ১/৩৫৪, ৩৬২)
রাসুল সা. বলেন, আল মানাহিল টিম দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে কাফন দাফন কাজ আনজাম দিচ্ছে। এমনকি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকদের জন্য তাদের রীতিনীতি মোতাবেক সৎকারেরও ব্যবস্থা রয়েছে। স্ব স্ব ধর্মীয় লোক দ্বারা প্রত্যেকের নিজস্ব রীতিনীতি মোতাবেক এসব কাজ আনজাম দেয়া হয়।
Select Amount
৳ 

৳